১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বাঙালির জাতির পিতাকে নির্মমভাবে পরিবারসহ হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে জানতে পেরেছি, ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব সাহসী এবং প্রতিবাদী ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয় তার।
তিনি স্বপ্ন দেখতেন একটি স্বাধীন বাংলাদেশের। বাঙালির অধিকার রক্ষায় তিনি নানা আন্দোলনের জড়িয়েছেন। মাঠের রাজনীতিতে সরব উপস্থিতি ছিল তার। এভাবেই গণমানুষের বন্ধু হয়ে উঠেন টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, মাত্র ৫৪ বছরের জীবনে বঙ্গবন্ধুকে ১২ বছরের বেশি থাকতে হয়েছে কারা প্রকোষ্ঠে। দিনের হিসেবে চার হাজার ৬৮২ দিন। অর্থাৎ জীবনের এক চতুর্থাংশ সময়।
বঙ্গবন্ধুকে এত কিছুর পরও মাথা নত করা যায়নি। তিনি জানতেন তিনি মাথা নত করলে বাংলাদেশ কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। শোষক শ্রেণির রোষানলে থেকেও বাঙালির মুক্তির সনদ তিনি পেশ করেন। বাঙালি জাতির প্রাপ্য যে ফিরিয়ে দিতে হবে এটা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাদের।
এমনকি বিজয়ের পর খুব দ্রুত যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে তিনি সুসংগঠিত করে ফেলেন। মানুষকে সাহায্য করা, সংবিধান তৈরি, শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই তেজস্বী মনোভাবই হয়ত কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে৷ বাংলাদেশকে সংগঠিত করে নিজ হাতে এগিয়ে নেওয়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেটা সেখানেই থমকে যায়। একাত্তরে পরাজিত শক্তির উল্লাস তখন শুরু হয়। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেললে হয়ত বাংলাদেশ আর আগাতে পারবে না। এটা তাদের ভুল ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি।