এরপর একদিন ছুটির দিন দেখে আমরা বেরিয়ে পড়লাম দালাল বাজার জমিদার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে।
লক্ষ্মীপুরের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা দালাল বাজার জমিদার বাড়ি। লক্ষ্মীপুর জেলা সদর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
অতীতের স্মৃতি বিজড়িত এসব স্থাপনার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সব ভ্রমণপ্রেমীদের।
জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে জানা যায়, প্রায় চারশ বছর আগে লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণব নামের এক ব্যক্তি কলকাতা থেকে কাপড়ের ব্যবসা করতে দালাল বাজার আসেন। তার পরবর্তী প্রজন্ম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক এজেন্সি এবং পরে জমিদারি লাভ করেন। ব্রিটিশদের বাণিজ্যিক এজেন্ট হওয়ায় স্থানীয়রা তাদেরকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেনি। তাদের ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত করেন।
১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জমিদারগণ পালিয়ে গেলে তাদের পরিত্যাক্ত জমিদার বাড়িটি রয়ে যায়। ধারণা করা হয়, লক্ষ্মী নারায়ণের নাম থেকেই লক্ষ্মীপুর শব্দটি এসেছে।
জমিদার বাড়িতে ঢোকার সময় লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে রাজ তোরণ। এরপরেই নজর কাড়ে রাজপ্রাসাদ, জমিদার প্রাসাদ এবং অন্দরমহল, বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির, পূজামণ্ডপ, লোহার সিন্দুক, লোহার ভীম এবং বাড়ির প্রাচীর।
জমিদার বাড়ির তিনদিকে সান বাঁধানো তিনটি পুকুর রয়েছে। অথচ সংস্কারের অভাবে এসবের সবই আজ জরাজীর্ণ। এজন্য একটু মন খারাপ হয়ে গেলেও বাড়িটির চারপাশে নানা ফলের গাছ দেখে মন ভালো হয়ে যায়। অনেকদিন পর এমন একটি সুন্দর জায়গায় এসে আমার ও আমার পরিবারের সবার ভালো লেগেছে।