বাংলার বার ভূঁইয়াদের একজন হলেন ঈসা খাঁ। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ঈসা খাঁ জঙ্গলবাড়িতে ছিল তার দুর্গ।
দুর্গ দেখতে বিকাল নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম সেখানে।
দেখলাম দুর্গটি এখন আর সেই আগের অবস্থায় নেই। রয়ে গেছে ধ্বংসাবশেষ। অযত্ন, অবহেলায় সেটাও বিলুপ্তির পথে।
দুর্গটি কত সালে নির্মাণ হয়েছে জানা না গেলেও জানা যায় , এটি মুসলমানদের এদেশে আসার পূর্বেই নির্মাণ হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি সমৃদ্ধশালী জনপদ।
ধ্বংসাবশেষটিও এখন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। যদিও একটি মসজিদ ও পরিখা সংস্কার করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে একটি পাঠাগারের সাইনবোর্ড থাকলেও পাঠাগারের কোনো চিহ্ন চোখে পড়ল না। প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের সাইনবোর্ডটিও সঠিকভাবে পড়া যায় না। নেই রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা।
ক্ষয়ে যাওয়া ধংসাবশেষ দেখে মনটা খারাপ হলো খুব। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কিছুটা দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।