খান জাহান আলী ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম প্রচারক ও স্থানীয় শাসক। তার সমাধিস্থলটিই 'খান জাহান আলীর মাজার' নামে পরিচিত।
জানা যায়, শাসনকালে তিনি ৩৬০টি মসজিদ এবং ৩৬০টি দিঘি খনন করেন। লোনা পানির অঞ্চলে এ দীঘিগুলো ছিল জনগনের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ।
দিঘিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খান জাহান আলীর মাজারের পাশে অবস্থিত খাঞ্জেলী দিঘি। এটি প্রায় ২০০ বিঘা জমি নিয়ে খনন করা হয়। এর পানি সুপেয়। গোসল করা এবং পান করার জন্য এ দীঘির পানি ব্যবহার করা হয়।
এ দিঘিতে কালা পাহাড় এবং ধলা পাহাড় নামে দুই ধরনের কুমিরের বংশধর এখনো জীবিত আছে, তাদের ডাকলে কাছে আসে।
দিঘির উত্তর দিকে রয়েছে খান জাহান আলীর সমাধি। এই জায়গাটি মূলত খান জাহান আলীর মাজার নামে পরিচিত। এর স্থাপত্যশৈলী অনেকটা ষাট গম্বুজ মসজিদের মতোই।
খুলনা থেকে ঘুরতে আসা শাওন সোম নামে এক কিশোরের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
সে বলে, “আমার এই জায়গাটি খুব ভালো লেগেছে। কুমির দেখেছি, মাজার আর মসজিদ ঘুরেছি।”
মাজারকে কেন্দ্র করে আশেপাশে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠেছে। প্রতি বছরই এ মাজারে ওরশ এবং মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। তবে মহামারির জন্য এখন লোক সমাগম কম দেখা যায়।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া জুবায়ের হোসেনের বাড়ি মাজারের কাছাকাছি। সে প্রায়ই এখানে আসে।
জুবায়ের হ্যালোকে বলে, “আগে প্রতিদিনই অনেকে এখানে ঘুরতে আসত। শুক্রবারে সবচেয়ে বেশি মানুষ হতো। এখন করোনার জন্য অনেক কম মানুষ আসে।”