বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বজ্রপাতে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ২৫০ থেকে ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়। সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে হতাহতের সংখ্যা বেশি থাকত। এ বছরে জুন মাসের প্রথমার্ধেও এই প্রবণতা বেড়েছে।
২০১৬ সালে মে মাসে এক দিনে ৩৩ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পাঁচ বছর আগে বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডার অ্যাওয়ারনেস ফোরামের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে মে ও জুন মাসে বজ্রপাতে মারা গেছে অন্তত ১২৬ জন। এর পরের বছর ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে মারা গেছে অন্তত ৮১ জন। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদের মতে, যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয় তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।
বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূ-ভাগের উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। এ অবস্থায় বেশ গরম আবহাওয়া দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম আবহাওয়া দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ার সময় আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে জানা যায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আটটি অঞ্চল ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, পঞ্চগড়, নওগাঁ, খুলনা পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র রয়েছে।
বজ্রপাতের সময় ছাদে, মাঠে, ঘাটে, খোলা জায়গায় যাওয়া নিষেধ। এ সময়য় সচেতনতামূলক নির্দেশনা মানারও পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।