খর্বকায়ত্ব কেন হয়, প্রতিকার! (ভিডিওসহ)

বাংলাদেশে নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া অনেক শিশুরই স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সেক্ষেত্রে বয়সের তুলনায় উচ্চতা অনেক কম থাকে। শুধু নিম্নবিত্তই নয়, অনেক সচ্ছল পরিবারের শিশুও পুষ্টির অভাবে খর্বকায় হতে পারে।
খর্বকায়ত্ব কেন হয়, প্রতিকার! (ভিডিওসহ)

খর্বকায়ত্ব এমন একটি রোগ যা শিশুদের জন্য খুবই মারাত্মক। প্রাথমিক দৃষ্টিতে শুধু উচ্চতার সমস্যা ধরা পড়লেও এই রোগের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো হয় দীর্ঘমেয়াদি, যা সারা জীবন ভোগাতে পারে।

বাংলাদেশে অধিকাংশ অভিভাবকেরই ‘শিশুর সঠিক যত্ন ও প্রতিপালন’ সম্পর্কে জ্ঞান এখনও বেশ সীমিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের নির্ণয়ে আমাদের দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩৯টি জেলাতেই খর্বকায়ত্বের হার অনেক বেশি।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই, এমন বাড়ির শিশুদের ৫৭ ভাগই বয়সের তুলনায় ওজন ও উচ্চতায় কম হয়। অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে এমন পরিবারে এই সংখ্যা শতকরা ৩১ ভাগ।''

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. মু. গোলাম সারোয়ার বলেন, "বেড়ে ওঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে অধিকাংশ শিশুর মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এছাড়া এই রোগের ক্ষেত্রে তিনটি ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে। একটা হচ্ছে জেনেটিকস, দ্বিতীয়টা ক্রোমোজোমাল এবনরমালিটি আর তিন নম্বর হলো নিউট্রিশন।

“যে সকল বাচ্চারা ছোটবেলা থেকেই প্রোটিনের অভাবে ভোগে তাদের এই রোগ হওয়ার চান্স থাকে। যদি কোনো বাচ্চা সময়ের সাথে সাথে না বাড়ে তাহলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।”

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com