ঘুর্ণিঝড় বা সাইক্লোন প্রায় প্রতিবছরই প্রত্যক্ষ করতে হয় আমাদের। কিন্তু কীভাবে সৃষ্টি হয় এটি?
বায়ু উপরে উঠতে থাকলে নিচের অংশে বা পৃষ্ঠে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়, যাকে আমরা নিম্ন চাপ বলে থাকি। ঠিক ওই সময় আশপাশের উচ্চচাপ সম্বলিত বায়ু নিম্নচাপ অংশে ছুটে আসে, যা উপরের দিকে উঠতে থাকে। উঞ্চ আর আর্দ্র বায়ু উপরে উঠে গিইয়ীএ শীতল হয়ে মেঘে পরিণত হয়।
যেহেতু এই পুরো প্রক্রিয়াটি ঘুরতে থাকে এবং সাথে এর গতিও বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাই মাঝ বরাবর একটি চোখ সদৃশ অংশের সৃষ্টি হয়।
বাতেসের গতি ঘণ্টায় ৩৯ মাইল কিংবা ৬৩ কিলোমিটার হলে তাকে সাধারণত গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় ঝড় বলা হয়। আবার এই বাতাসের গতি বেড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৭৪ মাইল কিংবা ১১৯ কিলোমিটার হয়ে গেলে সাধারণত একে ক্রান্তিয় ঘুর্ণিঝড় বা হারিকেন বলা হয়।
প্রতি বছর গড়ে এই ধরনের প্রায় ৭০-৯০ টি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো সাগরেই দুর্বল হয়ে যায়, তখন স্থলভাগে আঘাত হানে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: সাতক্ষীরা।