সুনসান ঢাকায় চোখ মেলে তাকালেই দেখা যায় প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। গাছে গাছে ফুটেছে ফুল, পাতাতেও সবুজের স্নিগ্ধতা।
এই সময়টায় যানজটের শহরে রঙিন পরশ বুলিয়ে দেয় বিভিন্ন ফুলের গাছ।
পলাশ শিমুল আর মাদারের দিন শেষ হতেই শুরু হয়েছে লাল কৃষ্ণচূড়ার দিন। সংসদ ভবন আর চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশে সারি সারি গাছে আগুন রঙা কৃষ্ণচূড়া ফুটতে দেখেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে গ্রীষ্ম এসেছে।
শুধু কি কৃষ্ণচূড়া সারা শহর ঘুরলেই দেখা যায় গ্রীষ্মের সব ফুলের সমাহার। যেমন জাতীয় সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে মিরপুর রোড ধরে যতই সামনে যাওয়া যায় ততই হলুদাভ কনকচূড়া, পেল্টোফোরাম মুগ্ধ করবেই।
রমনাপার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে মিন্টু রোডসহ সারা শহরেই রয়েছে কনকের মুগ্ধতা।
আবার হাইকোর্টের সামনে যে ফুল চোখে পড়বে তা হলো পেল্টোফোরাম।
রাজধানীর পান্থপথ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের দিকে যেতে রাস্তা-বিভাজনে বেড়ে উঠেছে বকুল, বেলিসহ নানা রকম গাছ।
প্রখর রোদে চোখ ধাঁধায় স্বর্নাভ হলুদ রঙা সোনাইল বা বানর লাঠি আর বেগুনি রংয়ের মনোমুগ্ধকর জারুল। সঙ্গে আছে রাঁধাচূড়া, কুরচি, কাঠগোলাপ, ডুলিচাঁপা, উদয়পদ্ম, পাদাউক, মধুমঞ্জুরী, কমব্রেটাম, পালাম বা পালান, লাল বা গোলাপি রঙা সোনালু, নাগেশ্বর, হিজল, ঝুমকো লতা, জ্যাকারান্ডা ফুল।
সারা শহর যদি কেউ ফুল দেখার জন্যই একদিন ঘুরতে বের হয় তবে নিরাশ হবে না। ঘরে ফিরবে এক রাশ সতেজ স্নিদ্ধতা নিয়ে।