সুন্দরের পসরা সাজিয়ে সুসং (ভিডিওসহ)

পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা নিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সীমাহীন সৌন্দর্যের আঁচল পেতে অপেক্ষা করছে নেত্রকোণা জেলার সুসং দুর্গাপুর।
সুন্দরের পসরা সাজিয়ে সুসং (ভিডিওসহ)

সাদামাটির পাহাড়, রঙিন জলরাশি, ঘন সবুজ বন, অবারিত ফসলের মাঠ, হাজং পল্লী, সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ শীতল জল, এমন আরো নানান আয়োজন পর্যটন শিল্পের জন্য খুলে দিতে পারে নতুন দ্বার ।

গারো পাহাড়, টিলার বাঁকে বাঁকে হাজংদের বসবাস, মাটি খুঁড়ে খাবার পানি সংগ্রহের পুরানো পদ্ধতি, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি এ সব কিছুরই রয়েছে পর্যটক আকর্ষণের সক্ষমতা। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত সাদামাটির পাহাড় দেখতে হলে আসতে হবে দুর্গাপুর। ১৯৫৭ সালে সর্বপ্রথম পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসপি) এ অঞ্চলে সন্ধান পেয়েছিল সাদা মাটির। যাকে চায়না মাটিও বলা হয়। এখানে প্রায় ৩.৮৪ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে ২.৪৭ মিলিয়ন টন সাদা মাটির পাহাড় রয়েছে।

কোথাও সে সাদা, কোথাওবা গোলাপী, কোথাও অন্য রঙের । আর এই পাহাড়ের কূল ঘেষে রয়েছে বর্নিল জলের হ্রদ। স্থানীয়দের কাছে যা নীল জলের পুকুর নামে পরিচিত।

১৯১০ সালে উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত রাণীখং মিশন দুর্গাপুরের আরেক বিস্ময়। এখানে রয়েছে শান্তিনিকেতন নামে এক বিশ্রামাগার। যা নিমিষেই পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়।

ইতিহাসের পাতায়ও মাথা উঁচু করে আছে দুর্গাপুর। বহেরাতলী গ্রামে আছে রাণীমাতা রাশমণির স্মৃতি সৌধ। 

টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমদিনী হাজংকে বাঁচাতে গিয়ে ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারী মুখোমুখি সংগ্রামে ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা সুরেন্দ্র হাজংসহ শহীদ হন রাণী রাশমণি।

যার আকর্ষণে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ বারবার দূর্গাপুরে ফিরে আসবে তা হলো সোমেশ্বরী নদী। এ নদীর পানি অত্যন্ত শীতল আর স্বচ্ছ।

যদিও সারা বছর ধরে এ নদীর সকল অংশে জল থাকে না, তবুও ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা জলপূর্ণ অংশটুকুই পর্যটকদের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম।

ময়মনসিংহ বিভাগের উত্তরের এই জনপদ একটু সরকারি, বেসরকারি যত্ন আর প্রচার পেলেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com