শিশুদের কর্মঘণ্টা নিয়ে ভাবে না মালিক পক্ষ। কম টাকায় নিজেদের খুশিমত কাজ করিয়ে নেয় শিশুদের দিয়ে। মজুরিতেও রয়েছে আকাশ পাতাল বৈষম্য।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব জুড়ে বেড়ে যাবে শিশুশ্রম। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে গরিব লাখ লাখ শিশুকে পরিবারের খরচ যোগাতে লেখাপড়া ছেড়ে কাজে নামতে হয়েছে, বেড়েছে শিশুশ্রম। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ওই সব শিশুরা হয়ত চিরদিনের জন্য ঝরে পড়বে।"
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লাখ লাখ শিশুকে শ্রমের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা গত ২০ বছরের অগ্রগতির পর প্রথম শিশুশ্রম বাড়িয়ে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৮ বা ১৯ শতকের দিকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা ১৪ ঘণ্টা বা তারও অধিক সময় ধরে কাজ করত। ১৮৮৬ সালে তারা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে শিকাগো শহরে ধর্মঘট করে। দুই দিন পর পহেলা মে হারভেস্টিং কোম্পানির প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় ২০০ পুলিশ লাঠিচার্জ এবং রিভলবার দিয়ে আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় অনেকে আহত ও নিহত হন।
১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর ঘটনাকে স্বীকৃতি দিয়ে পহেলা মে কে আন্তজার্তিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৯০ সাল থেকে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: সিরাজগঞ্জ।