এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিল্ডিং এ ফেয়ারার, হেলদিয়ার ওয়ার্ল্ড’ অর্থাৎ একটি সুন্দর এবং সুস্থ বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল গঠন করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ১৯৫০ সাল থেকে সংস্থাটির জন্মদিনেই পালন করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৫০ সালের প্রথম স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নো ইওর হেলথ সার্ভিসেস’ অর্থাৎ ‘নিজের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতন হোন’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতিসংঘের একটি সংস্থা, যারা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে থাকে। এর প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য।
এবারের স্বাস্থ্য দিবসে ‘লকডাউনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছে সরকার। মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্তের হার প্রতিদিন ভাঙছে রেকর্ড। এ বছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। এমনকি মৃত্যুর সংখ্যাও বেশ কিছুদিন দশের নিচে ছিল, কিন্তু তাতেও ঊর্ধ্বগতি। স্বাস্থ্যসেবার দিকটিও বেশ সমালোচিত হচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘হাসপাতালে ঘুরে ঘুরেই’ বাড়ছে মৃত্যু। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি তথ্যের চেয়ে বেশি রোগীতে রাজধানীর হাসপাতালগুলো পূর্ণ। দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত সপ্তাহেই ঠাঁই মিলছিল না করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের।