বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পিছিয়ে আছে উপকূলের শিশুরা। বিশেষ করে উপকূলের যে সকল অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেখানকার নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুরা খুব কম বয়সেই বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশের পর্যটন নগরী ও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এভাবেই দেখা মেলে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শিশুদের। এদের বেশির ভাগই বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে বিক্রি করে।
তাদেরই একজন শিশু সামিনা। বয়স এখনো তিনের কোঠায়। নিজের নামটা বলতে পারে কোনো রকম। যে বয়সে তার মায়ের কোলে থাকার কথা, সে বয়সে সমুদ্র সৈকত জুড়ে বিক্রি করছে ডিম। দিন মজুর বাবা আর চুড়ি বিক্রেতা মায়ের একমাত্র সন্তান সে।
দরিদ্রতার চরম টানাপোড়নে সামিনা আজ এখানে। শুধু সামিনা নয়, তার মতো রয়েছে অনেক শিশুই।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রোগ্রাম ২০১৭ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত প্রায় ৬২ লাখ শিশু এখনও শিক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৪৬ লাখ শিশুই প্রাথমিক স্কুলে যাওয়ার বয়সী।
সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়,সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা উপজেলাগুলোতে ৪৫ শতাংশ শিশুই স্কুলের বাইরে রয়েছে।