বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীনতার এই স্থপতি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় বেশ ভালো ছিলেন। শুধু তাই নয় তার মানবিক গুণাবলীও ছিল অনেক।
মমতাজ উদদীন আহমদের লেখা ‘বাংলার খোকা’ গল্প থেকে জানা যায় শীতকালে শীতে কাবু হওয়া এক বৃদ্ধার গায়ে নিজের নতুন চাদর জড়িয়ে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। একদিন এক গরীব বন্ধুকে ছাতা দিয়ে আসেন তিনি, নিজে বাড়ি ফেরেন বৃষ্টিতে ভিজে। মানবতার সঙ্গে নেতৃত্বের গুণটিও ছিল সহজাত।
১৯৩৯ সালে তখনকার অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এসেছিলেন গোপালগঞ্জে। তারা শেখ মুজিবের স্কুল পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্য থেকে শেখ মুজিব এগিয়ে গিয়ে বলেন স্কুলের ছাদের ফাটলের কথা। যেই ফাটলের কারণে বৃষ্টির পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ে ক্লাসে, বই-খাতা নিয়ে বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। সেই ছাদ সংস্কারের দাবি জানান তিনি। সেই শেখ মুজিব ৭ মার্চ এগিয়ে এসে বলেছিলেন বাংলার মানুষের অধিকারের কথা। তার শৈশবের গল্প, নেতৃত্বের গল্প, ছোটখাট এমন মানবিক অনেক উদাহরণ আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শেখায়, মানবিক হতে শেখায়। তাই শেখ মুজিবের গল্পগুলো ছড়িয়ে যাক সবখানে, আমাদের মাঝে। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন গল্প বইয়ে যেমন রাখা যায় ঠিক তেমনি খেয়াল রাখতে হবে তা যেন শিশুদের জন্য উপভোগ্য হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি গ্রাফিক নভেল বের হয়েছে যার নাম ‘মুজিব’। এমন কমিক বা গ্রাফিক নভেলের সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। টেলিভিশনে তাকে নিয়ে এনিমেশন প্রচার করা যেতে পারে। মুজিব নিয়ে একটি বায়োপিক নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে দেওয়া যাবে মুজিবের আদর্শ।