সেতুগুলোর নিচে প্রশস্ত ভূমি অপব্যবহার হচ্ছে বা ব্যবহার হচ্ছে না। কোথাও দেয়া হয়েছে দোকান, কোথাও ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা, কোথাও ব্যবহার হচ্ছে উন্মুক্ত শৌচাগার হিসেবে।
দু-একটি জায়গায় গাছ লাগানোর চেষ্টা দেখা গেলেও তার অবস্থা ভালো নয়। সেতুর পিলারগুলো নানান রকম পোস্টার লেখালেখিতে কুৎসিত আকার ধারণ করেছে।
আমরা কি পাল্টে দিতে পারিনা এই চিত্র? স্বদিচ্ছা আর সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে নিশ্চই আমরা তা পারি। উড়ালসেতুর কিছু পিলারে আমরা অপ্রয়োজনীয় পোষ্টারের পরিবর্তে সাজাতে পারি আমাদের বর্ণমালা লিখে যা দেখতে দেখতেই পথশিশুরা শিখে যাবে অ, আ, ক,খ। কিছু পিলারে আঁকা হোক ভাষা শহীদদের ছবি। বীরউত্তম, বীর শ্রেষ্ঠ, বীর প্রতীকদের মুখ।
ছবি দেখে দেখে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই চিনে নিক জাতীর নায়ক, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী, মহান ব্যক্তিবর্গদের- যারা যুগে যুগে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন মানুষের কল্যাণে। রোজ তাদের দেখতে দেখতে হয়ত কেউ অনুপ্রানিত হবে তাদের পথ অনুস্বরণে।
উড়ালসেতুর খালি জায়গায় হতে পারে বাগান অথবা ফুটপাতের দোকানগুলো স্থানান্তর হতে পারে উড়ালসেতুর নিচে। তাতে রোদ বৃষ্টিতে যেমন দোকানিদের কষ্ট কমবে, ফুটপাত হবে হাঁটবার জন্য উন্মুক্ত।
সরকারি কোষাগারেও জমা হতে পারে কিছু অর্থ। হতে পারে যাত্রী ছাউনি, বিশ্রামাগার, প্রদর্শনী কেন্দ্রসহ নানান কিছু।