সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক (ভিডিওসহ)

পঞ্চম শ্রেণির পর স্কুলে যাওয়ার সৌভাগ্য না হলেও তিনি বোঝেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মূল্য।
সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক (ভিডিওসহ)

১৯৩৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামামুশরীভূজা গ্রামের এক অতি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন জিয়াউল হক। এক পর্যায়ে শুরু করেন দই বিক্রি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হয়ে কোনো রকমে সংসার চালালেও প্রতিদিন দুই-একটি বই কিনতে কিনতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন এক পাঠাগার।

জিয়াউল হক হ্যালোকে বলেন, “২০ বছর বয়স থেকে আমি দই বিক্রি শুরু করি। সংসার চালানোর পর টাকা জমিয়ে আমি বই কিনতাম।”

এলাকার গরীব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ কিনে দিয়ে সহযোগিতাও করতেন তিনি। মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতাও করতেন।

এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায়ও আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছেন এই সাদা মনের মানুষ।

তিনি হ্যালোকে বলেন, “গ্রামের এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা ডাক্তার দেখাতে পারে না তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। অনেকের ঘর করে দিয়েছি। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজে অনেক টাকা ইনভেস্ট করেছি আমি।"

সমাজসেবী জিয়াউল হকের শেষ ইচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা।

তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমি শেষ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব। প্রতিষ্ঠা করা এমন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো এমপিও ভুক্ত হয়নি সেগুলো দ্রুত যাতে এমপিও ভুক্ত হয় তারজন্য সরকারের কাছে আরজি থাকল আমার।"

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com