স্বপ্নের ঠিকানা কি পাবে? (ভিডিওসহ)

প্রত্যেক শিশু-কিশোরের চোখেই রয়েছে বড় হওয়ার স্বপ্ন। হ্যালোর সাথে এই স্বপ্ন নিয়ে কথা হয় কয়েক জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুর, বেঁচে থাকার জন্যই যাদের প্রতিদিন যুদ্ধ করতে হচ্ছে।
স্বপ্নের ঠিকানা কি পাবে? (ভিডিওসহ)

সারাদিন যাদের কাজ করতে হচ্ছে নিজের আর পরিবারের থাকা, খাওয়ার জন্য। কারো কারো আবার ভিক্ষা করেই দিন কেটে যায়। তবুও তারা বড় কিছু হবার স্বপ্ন দেখে।

তবে স্বপ্ন পূরণের জন্য যে পড়াশোনা বা পরিবেশ দরকার তা তাদের নেই। যে কজন স্কুলে যেত, মহামারির কারণে তারাও পড়াশোনা থেকে সম্পূর্ণ বাইরে।

রাস্তায় কিংবা পার্কের খোলা জায়গায় খেলা করে কাটাচ্ছে সময়। কিন্তু তাদের কেউ হতে চায় চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ পুলিশ।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধানমণ্ডি লেকে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে পাঁচ বছর বয়সী শাবনূর। সে হ্যালোকে বলে, “আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।”

একই রকম স্বপ্ন দেখে নয় বছর বয়সী ফারজানা। ফুল বিক্রি করেই দিন কাটছে এখন তার। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেও মহামারির জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় বাবার পাশপাশি সেও সংসারে সাহায্য করে চলছে। পড়াশোনা করার আর সুযোগ হবে কিনা সেটা অনিশ্চিত।

সে হ্যালোকে বলে, “আমি স্বপ্ন দেখি বড় হয়ে আমি ডাক্তার হব।”

ঘুরে ঘুরে পানি বিক্রি করে আট বছর বয়সী আরিফুল ইসলাম। কিন্তু স্বপ্ন দেখছে বড় হয়ে হাফেজ হওয়ার।

প্রকৌশলীরা কী করে সেই বিষয়ে কোনো ধারণা নাই সুমনের। কিন্তু স্বপ্ন তার প্রকৌশলী হওয়ার।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভলোপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, আমাদের দেশে ২০১৫ সালে পথশিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৫ মিলিয়ন যা ২০২৪ সালে হবে প্রায় ১.৫৬ মিলিয়ন; যাদের সবার বুকেই হয়তো নানান স্বপ্ন ছড়িয়ে আছে। আর এই বিরাট সংখ্যক শিশুদের স্বপ্ন কীভাবে পূরণ হবে? শুধু স্বপ্নই কি তাদের নিয়ে যেতে পারবে গন্তব্যে?

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com