সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা য়ায়, শিশুআইন ২০১৩ অনুসারে শিশু অধিকার ও শিশুর সামাজিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮ চালু করা হয়।
এরপর ২০১৬ সালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হেল্পলাইন দেশব্যাপী চালুর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিশুরা সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ ২৪ ঘণ্টা সেবা নিতে পারবে ঢাকার আগারগাঁও সমাজসেবা অধিদপ্ততরের ভবনের এই কল সেন্টার থেকে।
শিশুনির্যাতন, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, শিশুপাচার, যৌন হয়রানিসহ নানা দুর্ঘটনা থেকে শিশুকে উদ্ধার ছাড়াও আইনি সেবা দেওয়া, টেলিফোনে কাউন্সিলিং সেবা দেওয়া এবং নিরাপদ আশ্রয়, পুর্নবাসনের ব্যবস্থাও করা হবে এই হেল্পলাইনের মাধ্যমেই।
তবে যাদের সহায়তায় কাজ করবে এই হেল্পলাইন নম্বর। সেই শিশুদের বড় অংশই জানে না তাদের জন্য টোল ফ্রি '১০৯৮' হেল্পলাইনের কথা।
প্রতিবেদনটি করার সময় পাঁচটি জেলার ১০ জন শিশু ও অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য। শিশু সহায়তার কোনো হেল্পলাইন নম্বর তাদের জানা নেই।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কী নবাব স্যার আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিম সাইফ বলে, এই ধরনের কোন হেল্পলাইন নম্বর তার জানা নেই। তবে আমাদের বইয়ের শেষ মলাটে জাতীয় হেল্পলাইন '১০৯' ও '৩৩৩' নম্বরটি সে দেখেছে।
নিবির সাহা নামের এক শিশু সাংবাদিক বলে, শিশুদের হেল্পলাইন নম্বরটি শুধু পত্র পত্রিকা বা মিডিয়াতে প্রচার করলেই হবে না।
"আমাদের দেশে এখনো অনেক শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তাদের একটা অংশ পথে থাকে এবং শিশু শ্রমের সাথে জড়িত। এরাই কিন্তু বেশি নির্যাতনের শিকার তাই আমি মনে করি এইসব পিছিয়ে পড়া শিশুদের পুনর্বাসন করে শিক্ষার ব্যবস্থাও করা উচিত, এটা জরুরি।"