মাত্র ৪৮ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। কিন্তু এই অল্প সময়েই লিখে গেছেন পদ্মা নদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথার মতো কালজয়ী উপন্যাস।
১৯ মে এই সাহিত্যিকের জন্মদিন। তিনি বিহারের সাঁওতাল পরগনা দুমকায় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মার নাম নিরদাসুন্দরী দেবী। তার বাবার দেওয়া নাম ছিল প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকনাম মানিক।
তিনি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি পড়ার সময় মাত্র ২০ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে তিনি প্রথম গল্প 'অতসী মামী' লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। তারপর বাকি ২৮ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে লিখে গেছেন।
মাঝে বছর তিনেক তিনি চাকরি ও ব্যবসার কাজে জড়ালেও বাকি পুরোটা সময় সার্বক্ষণিকভাবে সাহিত্য সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
সাহিত্যে অল্প সময়ে প্রচুর গল্প, উপন্যাস লিখেছেন। সেই সঙ্গে লিখেছেন কিছু কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ ও ডায়েরি।বিজ্ঞানমনস্ক এই লেখক মানুষের মনোজগৎ তথা মানুষের অন্তজীবনে রূপকার হিসেবে সার্থকতা দেখিয়েছেন। একসঙ্গে সমাজবাস্তবতার শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
জননী, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মা নদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথা প্রভৃতি তার বিখ্যাত উপন্যাস। গল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাগৈতিহাসিক, সরীসৃপ, সমুদ্রের স্বাদ, কুষ্ঠ রোগীর বউ, হলুদ পোড়া, আজ কাল পরশুর গল্প, হারানের নাতজামাই, ছোট বকুলপুরের যাত্রী প্রভৃতি।
কলকাতায় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ৩ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।