যে জায়গাটিতে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড হয়েছিল সেখানেই নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধটি। নৃশংসতার শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, লেখক, চিকিৎসক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও নানা পেশাজীবীর মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, শহিদুল্লাহ কায়সার, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বীসহ আরো অনেকে। তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ রায়ের বাজারের স্মৃতিসৌধের স্থানটিতে পাওয়া যায় জয়লাভের কয়েকদিন পর।
নিশ্চিত পরাজয় জেনেই পাকিস্তানি শাসকচক্র বাংলাদেশকে চিরতরে মেধাশূন্য করতে এই হত্যা চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ হয়।
প্রতিদিন অনেকেই এখানে আসেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এই অনন্য সৌধটি দেখতে। ছুটির দিনগুলিতে শিশুদের উপস্থিতি থাকে।
হ্যালো কথা বলে এখানে ঘুরতে আসা শিশুদের সঙ্গে। তারা জানায়, ইতিহাসের সাক্ষী এই বধ্যভূমি দেখতে এসেছে তারা। জানতে এসেছে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্মমতার কথা।
উচু বাঁকা দেয়ালের সামনেই রয়েছে জলাধার। এই জলাধারের ভেতর থেকে উঠে আসা কালো রঙের গ্র্যানাইট পাথরের একটি স্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে। যা শোকের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।