বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ২১ নভেম্বর। সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে এটি পালিত হয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন ও সর্বোচ্চ শক্তিসহ আত্মপ্রকাশই এই দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে স্থান দিয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এপ্রিল মাসে মুজিবনগর সরকার গঠন হবার পর মুক্তিযুদ্ধকে সুশৃঙ্খল করতে গঠিত হয়েছিল মুক্তিবাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই যোদ্ধারা ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। জুন মাসে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা যোদ্ধারা দেশে প্রবেশ করার পর মুক্তিযুদ্ধ ত্বরান্বিত হতে থাকে।
গেরিলাবাহিনীর আক্রমণে দিশেহারা পাকবাহিনীর ওপর মধ্য নভেম্বর থেকে ভারতীয় মিত্র বাহিনী আক্রমণ শুরু করে। ১৩ নভেম্বর মিত্রবাহিনী যশোরে ঘাটি স্থাপন করে। ২১ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সম্মিলিত হয়ে গঠন করে যৌথ বাহিনী।
মিত্রবাহিনীর প্রধান লে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এটির নেতৃত্বে ছিলেন। যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ৭ ডিসেম্বর থেকে শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শহর যৌথ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এভাবেই যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। যৌথবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী। তাই ২১ নভেম্বর গঠিত যৌথ বাহিনী ও যুদ্ধে প্রাণদানকারী সকল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়।