শব্দ দূষণে নাকাল (ভিডিওসহ)

রাজধানীর রাস্তায় নানা নিয়ম করেও বন্ধ করা যায়নি অযথা হর্নের ব্যবহার। এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চালকের ইচ্ছে হলেই বাজানো হয় হর্ণ। ফলে শব্দ দূষণকে সঙ্গী করেই প্রতিনিয়ত চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
শব্দ দূষণে নাকাল (ভিডিওসহ)

শব্দ দূষণ রোধে তেমন কোনো পদক্ষেপ না থাকায় যত্রতত্রভাবে বেড়েই চলছে এটি।

এটা ঢাকাবাসীর কাছে যেমন বড় একটি সমস্যা, তেমনি ঢাকার বাইরে থেকে আসা মানুষদের জন্য অবাক হবার মতো ব্যপার।

প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসা আব্দুর রহমান কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বের হয়েই তাজ্জব বনে গেছেন!

তিনি বলেন, “আমি কিশোরগঞ্জ থেকে আসছি। কিন্ত আমাদের এলাকায় এরকম শব্দ নাই। ঢাকায় অনেক শব্দ, অনেক গাড়ি। আমাদের এলকায় এত গাড়ি নাই।”

ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, “চালকেরা অকারণে হর্ন বাজাচ্ছে। এগুলোর জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।”

২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট করতে ৬০ ডেসিবেল শব্দই যথেষ্ট এবং স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে ১০০ ডেসিবেল শব্দে। ঐ গবেষণায় ঢাকায় শব্দদূষণ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল তিনগুণ। 

শব্দ দূষণে হতে পারে উচ্চ রক্ত চাপ, মাথা ধরা, শ্রবণশক্তি হ্রাস, মনোসংযোগ কমে যাওয়ার মতো বহু ধরনের সমস্যা। তাই আইনের প্রয়োগ করে অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করা উচিত।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com