রাজশাহীর গর্ব এ এইচ এম কামারুজ্জামান

সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা এ এইচ এম কামারুজ্জামান আজন্ম জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই করে গেছেন। রাজশাহীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন।
রাজশাহীর গর্ব এ এইচ এম কামারুজ্জামান

এ এইচ এম কামারুজ্জামান ১৯২৬ সালের ২৬ জুন নাটোর জেলার নূরপুর গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস রাজশাহী সদরের বোয়ালিয়া থানায়। তার বাবা আব্দুল হামিদ ছিলেন জমিদার এবং মা বেগম জেবুন্নিসা ছিলেন গৃহিণী।

এ এইচ কামারুজ্জামানের পুরো নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান। তার ডাকনাম ছিল হেনা।

কয়েকবছর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার পর চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে অনুষ্ঠিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৪ সালে তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পাশ করেন।

১৯৪৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতিতে অনার্স পাশ করেন। এরপর রাজশাহীতে ফিরে এসে আইনের ওপর স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আইন ব্যবসা শুরু করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকার মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও ত্রাণ মন্ত্রী ছিলেন। তিনিই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করেছেন।

কামারুজ্জামান চমৎকার এক রাজনৈতিক পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছিলেন। তার পূর্বপুরুষেরা কংগ্রেসের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

১৯৪২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ধীরে ধীরে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা হয়ে ওঠেন।

তার ছয় সন্তানের মধ্যে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যান্য সন্তানেরা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত।

পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ঘাতকেরা ৩রা নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোগীদের হত্যা করে। এ এইচ এম কামরুজ্জামাম, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ ও মুনসুর আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

শহীদ হওয়ার ৪৪ বছর পরও এ এইচ এম কামারুজ্জামান প্রতিটি বাঙালী হৃদয়ে আজীবন বেঁচে আছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com