এসব শিশুদের নিজেদের শরীর স্বাস্থ্যের উপর নেই কোনো খেয়াল। তার উপর তাদের বাবা-মায়েরও তেমন নজর নেই শিশুদের উপর। এই শিশুদের বুকের পাঁজরের দুই পাশের চব্বিশটি হাড়ই গোনা যাবে।
জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৫ তে বলা হয়েছে, পুষ্টি প্রতিটি মানুষের প্রয়োজনীয় শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ও অটুট স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। পুষ্টির অভাবে মাতৃগর্ভে শিশুর কাঙ্খিত বৃদ্ধি ঘটে না, শিশুর জন্ম-ওজন কম হয়। খর্বতা, কৃশতা, কম ওজন ও অনুপুষ্টি-কণা ঘাটতি এসব অপুষ্টিরই পরিণতি। শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এই অপুষ্টি।
ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন বলছে, শিশুদের খর্বকায়ত্বের পেছনে মস্তিষ্কের পুষ্টিহীনতা দায়ী। বেড়ে ওঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে তাদের মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। ফলে শিশুর বিকাশ ব্যাহত হয়।
অপর দিকে তাদের বাড়ির দিকে নজর দিলে দেখা যায় তাদের বাড়ির পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন।
অভিভাবকেরা বলছেন তারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাদের শিশুদের ঠিক মতো পুষ্টিকর খাবার দিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজরে সহকারী অধ্যাপক ডা.কামরুল হাসান পারভেজ বলেন, অপুষ্টির কারণে শিশুদের রাতকানা, গলগণ্ড, উচ্চতা কমসহ নানা রোগ হতে পারে এবং অপুষ্টি থেকে শিশুকে বাঁচাতে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং শিশুর ছয় মাস বয়সের পর সুষম খাবার দিতে হবে।