বলছি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনা করা দীপান্বিতা হৃদি ও তার নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা কুকুদের কথা। দীপান্বিতার আশ্রয়ে শুধু কুকুরই নয়, আছে বিড়ালও।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মামুদপুর গ্রামের অ্যানিম্যাল লাভারস অফ বাংলাদেশ নামের আশ্রয়কেন্দ্রটি বিড়াল বাড়ি নামেই বেশি পরিচিত। দেড় বিঘা জমির উপর দোতলা বাড়ির পুরোটিই আঘাতপ্রাপ্ত ও হারিয়ে যাওয়া বিড়াল, কুকুদের দিয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিক দীপান্বিতা।
মানুষ যেভাবে যোগাযোগ করতে পারে, পশুরা সেভাবে যোগাযোগ করতে পারে না এই দিকটা ১২ বছর বয়সী শিশু দীপান্বিতাকে ভাবিয়েছিল। এই ভাবনা থেকেই পানি থেকে একটা বিড়াল উদ্ধারের মাধ্যমে তার শুরু হয় বিভিন্ন আঘাতপ্রাপ্ত ও হারিয়ে যাওয়া বিড়াল ও কুকুরের আশ্রয় দেওয়া।
বর্তমানে তার এই আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয়েছে ২০টি কুকুর ও ৭০টি বিড়ালের। একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং দুই জন কর্মচারীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব বিড়াল ও কুকুদের যত্ন নেওয়া হয়।
দীপান্বিতা আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার পাশাপাশি পশু সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনা করে থাকেন।
তিনি বলেন, “আমরা পশুদের সাথে কেমন আচরণ করতে হয়, পশু নির্যাতন আইন, পশু নির্যাতনের শাস্তি এবং রাস্তার পশুদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকি।”
মেয়ের এমন ব্যতিক্রমী কাজকে উৎসাহ দিয়ে পাশে থেকে সহায়তা করছেন সাবেক ব্যাংক