যান্ত্রিক এই শহরে পাখির মধুর কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙার সুযোগ নেই। তাই হয়তো সৌখিন মানুষেরা শখ করেই কিনতে আসেন পছন্দমতো পাখি। ছোট-বড় অনেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পাখি কিনতে আসেন।
এখানকার একজন বিক্রেতা তৌহিদ রহমান হ্যালোকে বলেন, “এখানে প্রায় সব বয়সী মানুষই পাখি কিনতে আসে। দেখা যায়, ৬০ বছর বয়সী মানুষও কেনেন আবার ১৫-১৬ বছরের ছেলেমেয়েরাও আসে। আবার বাচ্চারাও আসে। সবাই শখ করেই কিনতে আসে।”
কয়েকটি দোকানে দেখা গেলো নানা প্রজাতির বিদেশি পাখি। পাখিগুলো যেন অপূর্ব রঙে ডুব দিয়ে এসেছে! এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রঙের বাজরিগার, লাভ বার্ড, জাভা, ককাটেল, কিংস, জেব্রা ফিঞ্চ, গোল্ডেন ফিঞ্চ, রেড রোজেলা, লোটেনো গোল্ডেন, ডায়মন্ড ডোব ও সান ক্নুর কোয়েল।
এছাড়া ভালো জাতের কবুতর লক্ষ্মা, সিরাজি ও কিং র্যাম পাখির জাতের ওপর নির্ভর করে দাম। স্বাভাবিকভাবে পাঁচশ টাকা জোড়া থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকায় জোড়ায় পাওয়া যায় সব দোকানে। তবে দু’একটা দোকানে আরো অনেক বেশি দামের পাখি পাওয়া যায়। একটু ব্যতিক্রম ধরনের বা একটু বেশি সুন্দর পাখির দাম স্বভাবতই বেশি ।
ঐ বিক্রেতা হ্যালোকে পাখির দাম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিলেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন বাজরিগার পাখির জোড়া বিক্রি হয় ৮০০-১০০০ টাকায়। অন্যান্য পাখি আছে যা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়। ম্যাকাও, কাঁকাতুয়া পাখি একলাখ-দেড়লাখ টাকায়ও বিক্রি হয়।”