বিশেষ করে দুই ঈদে থাকে ঘরমুখী মানুষের বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা। ফলে বাড়তি চাপ পড়ে সড়কে, নৌপথে। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি।
প্রায় প্রতি ঈদে কারো না কারো বাড়ি ফেরার স্বপ্ন সারাজীবনের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়। আবার কেউ হারায় প্রিয় মানুষদের ফলে ঈদ আনন্দের বদলে কাটে শোকে।
গত পবিত্র ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদন- ২০১৯ অনুযায়ী
সারাদেশে ঈদ যাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩২টি দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ২৫৬টি দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত ও ৮৬০ জন আহত হয়েছেন।
তবে আশার কথা হল বিগত বছরের ঈদের চেয়ে গত ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, নিহত ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ ও আহত ৪৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে।
গেল ঈদে মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহত যাত্রীর ৩০ শতাংশ এবং মোট আহত যাত্রীর ১০ শতাংশ। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা প্রায় ৪৫ শতাংশ ঘটেছে।
আগামী ঈদুল আযহা এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে এই দুর্ঘটনার প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করে যাত্রী কল্যাণের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল।
সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার জন্য দায়ী মূলত ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, অদক্ষ চালক ও চালকের সাহায্যকারী দ্বারা যানবাহন চালানো, মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল, বেপরোয়া যানবাহন।
আইনের সঠিক প্রয়োগ আর সচেতনতা পারে এভাবে সড়কে মৃত্যুর মিছিল রোধ করতে।