বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।“
এ ঘোষণা থেকেই জন্ম নেয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ ঘোষণা আসার পর শুরু হয় দেশকে শত্রুমুক্ত করার যুদ্ধ। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ। বাংলার মানুষ পায় স্বাধীন আকাশে ডানা মেলা বিহঙ্গ হওয়ার স্বাধীনতা।
পশ্চিম পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। আর এ স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট থাকা উচিত দেশের সকল মানুষের।
আকাশে উড়তে থাকা লাল-সবুজের পতাকা যেন জানান দেয় বাংলার স্বাধীনতার। আর এ স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার সময় যেন এখনি। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যেখানে থাকবে না শোষণ, থাকবে না অত্যাচার-নির্যাতন।
কিন্তু সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি পূরণ হয়নি। সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদের হতে হবে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশে প্রায়ই দেখা যায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন। রাজনৈতিক, আদর্শিক বা ধর্মীয় মতের বিরোধের কারণে অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতাও চোখে পড়ে। একটি স্বাধীন দেশের মানুষ নিশ্চয়ই স্বাধীনভাবে তার মতামত প্রকাশের অধিকার রাখেন।
এখনো দেশের নানান জায়গায় শোষিত হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। কর্মস্থলে তাদের কম মজুরিতে কাজ করানো কিংবা গৃহকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের খবর যেন অতি সাধারণ। স্বাধীন দেশে তারা সমান অধিকার আর শোষণমুক্ত জীবন আশা করতেই পারে। তাই চাই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও সবার এগিয়ে আসা।
স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকলের উচিত নিজের মনে দেশপ্রেমের বীজ রোপণ করা। তার জন্য শ্রদ্ধাশীল হতে হবে অন্যের স্বাধীনতার প্রতি। নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করলেই এগিয়ে যাবে দেশ। তবেই যেন স্বাধীনতার স্বাদ আরো পরিপূর্ণভাবে পাবে বাংলাদেশ।
কালরাত্রি পার করে যেমন স্বাধীনতার সূর্য দ্যুতি ছড়িয়েছে, তেমনি দেশের সর্বক্ষেত্রের আঁধার কেটে আলো আসবে।