রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, প্রয়োজনের পর বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি, রান্না শেষে গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করতে সচেতনতা তৈরি করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন তিনি।
পেশায় স্যানেটারি সরঞ্জাম কারিগর। গত এক বছর ধরে সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছেন তিনি।
তার পরিবারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। স্যানেটারি সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন। তার পর বেরিয়ে পড়েন প্রচারে।
জনসচেতনতার অভাবে দেশের সম্পদ যাতে ধ্বংস না হয় সে জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে মোড়ে মোড়ে মাইকিং করেন। নিজের সাইকেলে চেপে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে।
কারো কাছ থেকে কোনো রকম সাহায্য সহযোগিতা না নিয়ে নিজ খরচে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
পরিবারের সদস্যরা কেমন ভাবে নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পরিবারের সবাই আমাকে উৎসাহ দেয়। সব সময় পাশে থাকে।”
অন্যরা কেমন চোখে দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন নতুন এলাকাতে যাই এবং মোড়ে মোড়ে প্রচার করি সবাই ভাবে আমাকে কোনো অফিস বা কোনো ব্যক্তি আমাকে প্রচারের জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু যখন বলি আমি নিজ উদ্যোগে করি তখন সবাই আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয় এবং উৎসাহ দেয়।
বিকাশ সরকার জানান, ইউনুস আলির কাজে আমরা অনুপ্রাণিত হয় এবং তাকে উৎসাহ দেই।
তিনি জানান, গ্রাম, জেলা, বিভাগ পেরিয়ে সারা দেশে তার সতর্কবার্তার প্রচার চালিয়ে যাবেন। সারা জীবন জন সচেতনতার জন্য তার প্রচার অব্যহত থাকবে।