১৯৭১ সালের মার্চেই পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা ঠাকুরগাঁওয়ে ঢুকতে পারেনি। ১৫ এপ্রিল হানাদার বাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরে ঢুকে পড়ে। ২ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড গোলাগুলির পর পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে। পরদিন ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী বিজয় নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় নতুন প্রজন্ম জানে না ৩ ডিসেম্বর কী হয়েছিল ঠাকুরগাঁওয়ে। জেলা শহরের কিছু মানুষ এই দিনটা স্মরণ করেন।
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক জন ছাত্রের সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, তারা জানেই না ৩ ডিসেম্বর কী? তাদের স্কুলে পড়ানো হয়নি এই সম্পর্কে।
ঠাকুরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হ্যালোকে বলেন, “আমাদের অত কিছু মনে থাকে না। শিক্ষার্থীদের বইয়ের পড়া পড়াতেই আমাদের সময় চলে যায়।”
এসব দেখে কষ্ট হয়। আমরা ভুলে যাই আমাদের শিকড়, আমাদের গৌরবের কথা। অথচ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশটা বর যত্নে থাকার কথা ছিল।