বাংলার সংগ্রামী মানুষের বঙ্গবন্ধু, বাবা-মায়ের খোকা, স্বজনদের মিয়া ভাই, রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে মুজিব ভাই নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
তিনি ১৭ মার্চ ১৯২০সালে গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল, কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান সবখানেই ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ডাক দেন। তার ডাকে মুক্তিপাগল বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয়।
যাকে ঘিরে এতো ইতিহাস, যিনি নিজেই এতো ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু সেই মানুষের ইতিহাস মুছে ফেলতে, একদল ষড়যন্ত্রকারী ১৫ অগাস্টের ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা, বঙ্গবন্ধুর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরসহ ১৬ জনকে হত্যা করে ঘাতকরা।
১৫ অগাস্ট সম্পর্কে ফিদেল কাস্ট্রো বলেছিলেন, "শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।”
মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি অমর হয়ে আছেন। বাংলার ইতিহাসে মুজিব নামটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।
এজন্য অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছেন,
"যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।"