বাঁচতে হলে শিখতে হবে

আমরা মেয়েরা যে নিরাপদ নই তা আর নতুন করে বলার কিছুই নাই। পত্রিকা খুলেই চোখে পড়ে এসব খবরের কথা। পরিবার থেকে শুরু করে প্রায় সব জায়গাতেই যেন মেয়েদের জন্য অনিশ্চয়তা আর অনিরাপত্তার ব্যাপারটি ডালভাত হয়ে গেছে।
বাঁচতে হলে শিখতে হবে

আর ভার্চুয়াল জগতেও তাদের পোহাতে হয় নানা ঝঞ্ঝাট। ইন্টারনেটেও মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেখানেও নাই মেয়েদের নিরাপত্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও তাদের হয়রানির খবর শোনা যায় হামেশাই।

বিশেষ করে কিশোরীরা সাইবার আক্রমণের শিকার হয় বেশি। বিনা অনুমতিতে ছবি নিয়ে সেই ছবি অপব্যবহার করে ইউটিউব বা অন্য অনৈতিক সাইটে আপ করে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করার খবরও পাই আমরা। ফেইসবুকে কোনো কোনো ভিডিও চোখে পড়ে তার অনেকগুলিই অনুমতি ছাড়াই শেয়ার করা হয় বলে জানতে পারি।

ইন্টারনেটে হয়রানির বিষয়টি মারাত্মক প্রভাব পড়ে তরুণ তরুণীদের উপর। ডিপ্রেশান, পড়াশোনায় অনীহা, ঘুমহীনতা থেকে শুরু করে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে এবং অনেকেই লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, তার নজির রয়েছে আমাদের চারপাশেই।   

সাইবার জগতে নিরাপদ থাকার উপায় জানা নাই আমাদের মেয়েদের তাই কিশোরীরাই শিকার হয় সাইবার আক্রমণে। এরা খুব সহজেই অন্যের ফাঁদে পড়ে যায় যা একসময় তার বিপদ ডেকে আনে।

পত্রিকা খুললেই প্রায় চোখে পড়ে, ‘সাইবার বুলিংয়ের শিকার মেয়েরা’, যা দেখে অনেক মেয়ে ঘাবড়ে যায়। ভয় পেয়ে নিজেকে আড়াল করে ফেলে। আর এসব কারণে বাবা-মাও সন্তানের ভালোর জন্য ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ না করতে তাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সব জিনিসের দুইটি দিক থাকে। একটি ভালো, আরেকটি মন্দ। ইন্টারনেটেও তাই। আমরা এর থেকে যেমন উপকৃত হই, মাঝে মাঝে এর কারণে বিড়ম্বনার শিকারও হতে হয়। 

মেয়েরা ইন্টারনেট বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বা দূরে সরে যাবে সেটা তো কোনো সমাধান নয়। তাই নিরাপত্তা বিষয়ক যত রকম কৌশল আছে তা জানতে হবে, শিখতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে।

আমাদের অসচেতনতা বা অজ্ঞতা আমাদের বা পরিবারের বিপদ ডেকে আনতে পারে। কাজেই সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো সংকট হলে পরিবারের কাছ থেকে সেটা গোপন না করে নিজের বাবা-মাকে বন্ধু বানাতে হবে। কারণ এতে করে আমরা আমাদের সমস্যার কথা তাদের সাথে শেয়ার করতে পারব এবং প্রতিকূল সময় তারা আমাদের পাশে দাঁড়াবেন এবং সাহস জোগাবেন।  

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com