খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায় এবং দলের সবার প্রতি সমমর্মিতা, দলনেতার গুণ অর্জন ও সচ্চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, এসব আমরা বই পড়েই শিখেছি। কিন্তু মাঠেঘাটে খেলাধুলার অভিজ্ঞতা বা মজা পায় কজন শিশু?
যে সব খেলাধুলার জন্য মাঠ দরকার তার মধ্যে আছে, ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি। এসব খেলা দলগতভাবে হয়। তাই একজন শিশু বা কিশোর দলের নেতা হয়ে নেতৃত্ব দেবার গুণাবলি অর্জন করতে পারে দল থেকেই। অথবা দলের সদস্য হয়ে দলীয় আনুগত্য, শৃঙ্খলাবোধ, নেতার নির্দেশ পালন করা ইত্যাদি গুণাবলিও অর্জন করতে পারে।
এছাড়াও খেলায় আছে হারজিত। খেলায় জিতলে শিশু-কিশোরদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। পরবর্তীতে তারা আরও ভালো খেলার আশা রাখে। এদিকে খেলায় হারলে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশলও আয়ত্ব করতে পারে।
তাছাড়া খেলাধুলার মধ্য দিয়ে পরষ্পরের মধ্যে সৃষ্টি হয় বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি। খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জনের ফলে তারা পড়ালেখায়ও যথেষ্ট মনোযোগী হয়ে উঠে। কেননা শরীর ভালো তো মনও ভালো। খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং গুণাবলি ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে প্রভাব ফেলে। শিশু-কিশোররা গড়ে উঠতে পারে দেশের সুনাগরিক হিসেবে।
কিন্তু দু:খের হলেও সত্য, আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় খেলাধুলার মাঠ কম। মানুষ নিজের প্রয়োজনে এসব খেলার মাঠ উপযোগী স্থানে গড়ে তুলেন ইটের ভাটা, কলকারখানা, দালান ইত্যাদি।
তাই আজ সমাজের বড়দেরকে বলছি, আপনার সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে দেখতে চান তাহলে খেলাধুলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কিছু করবেন না। আমাদেরকে আমাদের মতো করে খেলাধুলা করতে দিন। হাসিখুশি, সুস্থ ও সুনাগরিক হয়ে বড় হতে দিন।