প্রাচীন শ্রী শ্রী অনাদী শিব লিঙ্গ মহাদেব যোগী ঋষি আশ্রম ও মন্দির নামে প্রতিচিত এটি।
জানা যায়, ৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত এই আশ্রম ও মন্দিরগুলোর পুনরায় সংস্কার করা হয় ১১১৯ খ্রিস্টাব্দে। এই সংস্কার কাজে সহযোগিতা করেছিলেন ধান সিং নামের এক ভদ্রলোক।
এই আশ্রমে রয়েছে ধর্মটুঙ্গী, কানচকুপসহ পুজা পার্বনের জন্য আটটি মন্দির।
বাংলাদেশে এ ধরনের মাত্র তিনটি আশ্রমের মধ্যে যোগী ভবনের এই আশ্রমটি অন্যতম।
এক সময় ভারত ও নেপাল থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আনাগোনা ছিল এই আশ্রমে। আশ্রমের ধর্মটুঙ্গীতে দিনরাত চলতো ধর্মীয় আলোচনা।
সাধু-সন্ন্যাসীরা এই আশ্রমে যুগের পর যুগ ধরে করেছেন আরাধনা।
কথিত আছে সাপের দংশনে মৃত লখিন্দরকে নিয়ে বেহুলা এখানে চিকিৎসার জন্য আসলে কোন কারণে চিকিৎসায় ভুল হওয়ার কারণে তাদের এখান থেকে আবার ফেরত যেতে হয়।
বর্তমানে সংস্কারের অভাবে আশ্রম ও মন্দিরগুলো শ্রীহীন হয়ে পড়লেও তা নিয়ে নেই কারো মাথাব্যথা। এই আশ্রমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাইনবোর্ড ঝোলানো হলেও তাদের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
আশ্রমের বর্তমান সেবায়েত সনাতন গোস্বামী জানান, প্রাচীন এই আশ্রমটি রক্ষায় আমরা আন্তরিক। কিন্ত সরকারিভাবে কোনো প্রদক্ষেপ নেওয়া না হলে এক সময় মানুষ ভুলে যাবে প্রাচীন এই আশ্রমটির কথা।