এ ফুল সবাইকেই কাছে টানে। আর শিশুদের কাছে এর কদর যেন একটু বেশি। শহুরে জীবনে খুব একটা দেখা মেলে না গ্রামীণ এই ফুলের।
শোনা যায়, উনিশ শতকের শেষের দিকে জনৈক পর্যটক কচুরিপানার ফুলে মুগ্ধ হয়ে ব্রাজিল থেকে এ উদ্ভিদ এদেশে আনেন। নদীর দেশ বাংলাদেশের জলাশয়ে এটি খুব দ্রুত ছড়াতে থাকে। তখন এতে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এখনও দেশের অনেক জায়গায়, বিশেষত বিল ও হাওরে কচুরিপানা আছে, কিন্তু তাতে নৌ চলাচল বা চাষাবাদে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।
এটি এখন প্রধানত সার হিসেবেই বেশি ব্যবহার হয় এবং বর্ষাকালে বন্যা আক্রান্ত অঞ্চলে গবাদি পশুর খাদ্য যোগায়। এছাড়া হাওর অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় বাঁশ দিয়ে আটকে রেখে ঢেউয়ের আঘাত থেকে ভিটে-মাটি রক্ষায় ব্যবহার হয়।
স্থানীয়রা অনেকেই এ ফুলকে টগরও বলে থাকেন।