আগের যুগের কিশোরেরা যেসব বই পড়ত এখন আর অনেকেই সেসব বই পড়ে না। সে বিষয়েই কথা হয় আমার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে।
রাইসা বলে, তার পছন্দের বই মোশতাক আহমেদের লেখা সায়েন্স ফিকশন পাইথিন। তবে সায়েন্স ফিকশন ছাড়াও সে অন্যান্য বই পড়ে।
তবে বেশির ভাগ শিশু কিশোরদের পছন্দ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তার প্রত্যেকটি বইই প্রিয় মেহের, কল্পর। সাবার প্রিয় লেখকও মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তার সায়েন্স ফিকশন সাইক্লোন ওর প্রিয় বই। তিয়াশারও তাই। দীপু নাম্বার টু বইটি তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে।
উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা ভালো লাগে প্রিয়াংকার। তার লেখা টুনটুনির বইটি তার খুবই প্রিয়।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যেকোনো বই ভালো লাগে ঋতুর। বই নিয়ে কথা বলতে চাইলে চোখ চকচক করে ওঠে আয়েশা, ফাতেমা ও নূরি। ওরা দুজনই গোয়েন্দা কাহিনী ভালোবাসে। আয়েশার প্রিয় রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দার সরিজগুলো। বড় ভাইয়ের সংগ্রহ থেকে নিয়ে পড়ে।
ও আরও জানায়, তিন গোয়েন্দার প্রায় সব বইই তার বড় ভাইয়ের সংগ্রহে আছে।
হুমায়ূন আহমেদ প্রিয় লেখক হলেও সাদিয়ার প্রিয় বই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী।
রুকাইয়ার পছন্দ বিদেশী সাহিত্য। টারজানের অনুবাদ ওর খুব প্রিয়। সাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য হওয়ার সুবাদে বিদেশি কিছু বই পড়ার সুযোগ পেয়েছে বলে জানায় ও।
গল্প উপন্যাসের পাশাপাশি হাদিসের বই পড়ে তাফসীর।
তবে অনেকে জানায়, বাড়ি থেকে অন্য বই পড়তে নিরুৎসাহিত করা হয়। অনেকেই নিজে থেকেই বলল, “পড়ার বই ছেড়ে অন্য বই পড়ার মানে কি? এতে কি রেজাল্ট ভালো হবে?”
পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বইয়ের সুবিধা কী তা অনেককে বোঝানো বেশ দুষ্কর। যারা বোঝে তারাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ তারাই।