এ জেলার মোট আয়তন ৪,৪৭৯.০৩ বর্গ কিলোমিটার।প্রকৃতি প্রদত্ত অবারিত সম্পদ ও সৌন্দর্যের আধার বান্দরবান।
এখানে রয়েছে পাহাড়রাজি, ঝর্ণা, বন। এর উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তাজিনডং অন্যতম। যা বিজয় নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এটি। এর উচ্চতা চার হাজার পাঁচ শত ফুট।
এ পর্বতশৃঙ্গ জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এটি উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাজিনডং ভ্রমণের জন্য শীতকাল সবচেয়ে উপযুক্ত।
রয়েছে কেওক্রাডং। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতা প্রায় চার হাজার তিনশ ৩০ ফুট। এটি রুমা উপজেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং বগালেক থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কেওক্রাডং মায়ানমার সীমান্তের খুব কাছেই। পাহাড়ি বৃষ্টি ও ভেসে বেড়ানো মেঘ এসব পাহাড়ে ভ্রমণের বিশেষ আকর্ষণ।
পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট এই জলাধার প্রকৃতির এক বিস্ময়। কোনো ঋতুতেই এ লেকের পানির গভীরতায় কোনো পরিবর্তন হয় না। বগালেকের আয়তন প্রায় ১৫ একর এবং এটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ ফুট উচুঁতে অবস্থিত। এর পানি স্বচ্ছ নীলাভ। এই লেকের চারপাশে রয়েছে বম, খুমী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহি পাড়া।
রিজুক ঝর্ণা জেলার রুমা উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই ঝর্ণার উচ্চতা প্রায় তিনশ ফুট।
জেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিম্বুক পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট। এখানে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।
জেলার নয়নাভিরাম জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রান্তিক লেক। এটি সদর উপজেলার হলুদিয়া গ্রামে অবস্থিত।এটি জেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এ জলাধারের চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। লেকের উপর গাছের আচ্ছাদন পর্যটকদের দেয় এক নিবিড় পরিবেশ।
বান্দরবানের রূপের বর্ননা লিখব আর নীলাচল বা টাইগার হিলের নাম আসবে না তা কি হয়? অনেকেই এ পাহাড়ের সৌন্দর্যের জন্য একে বাংলার দার্জিলিং বলে। পুরো বান্দরবান এ পাহাড় থেকে দেখা যায়। নীলাচল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
জেলা সদর থেকে ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি। এটি থানচি উপজেলায় অবস্থিত। এটি সেনাজোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
সর্পিল পথ, মেঘের সমতলে রাস্তা ও নিঝুম পাহাড় পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ দেয়।
এ জেলা প্রকৃতির অসামান্য দান। বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তুলনা হয় না।