জলে ফুল ভাসানোর দিন

বাঙালির জীবনে নববর্ষ আসে নানা অনুষ্ঠানের উপলক্ষ হয়ে। বৈশাখের শুভ দিনটিতে বাঙালির ঘরে ঘরে আসে নতুন আনন্দ, নতুন সুখ।
জলে ফুল ভাসানোর দিন

ঘর সাজানো হয় নতুন করে। নতুন পোশাকে সাজে অনেকেই। একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানানো, পরস্পরের মঙ্গল কামনা করে এই দিনে।

নববর্ষ ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়ে আসে হালখাতা অনুষ্ঠান। এই দিনে দোকানে দোকানে চলে হালখাতা। সবাইকেই সেদিন মিষ্টি খাওয়ানো হয়। তেমন বেচা-কেনা হয় না।

এই দিনটি যেমন বাঙালিদের জন্য আনন্দের তেমনি অন্য জাতি গোষ্ঠীর জন্যও।

নতুন বছরকে বরণ করতে হয় তিনদিনের বৈসাবী উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন থেকে বৈসাবী উৎসব শুরু হয়।

উৎসব শুরুর প্রথম দিনটির নাম ‘ফুল বিজু’। এদিনে ছোট ছোট শিশু থেকে ১৫ বছরের কিশোরীরা গঙ্গার সন্তুষ্টি লাভের জন্য নদীতে ফুল ভাসায়।

এ উৎসব উপলক্ষে পাহাড়ী মেয়েরা ফুল দিয়ে ঘর সাজায়।

এরপর ‘চৈত্র সংক্রান্তির দিন’ মূল বিজুতে নানা রকম ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন করে। 

এ উৎসব ফুল বিজুতে শুরু হয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে শেষ হয়।

বাঙালির নববর্ষ, চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংরাই সব মিলিয়ে বান্দরবানে বক্তৃতা (নিজ নিজ ভাষায়), রচনা প্রতিযগিতার (নিজ নিজ ভাষায়) ও চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com