এলাকাবাসীও তার এই কাজে সহায়তা করছে। তিনি স্বপ্ন দেখেন, সমাজে আর কোনো বাল্য বিয়ে হবে না।
একের পর এক এলাকার স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখে এবং নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেন আর কোনো বাল্যবিয়ে হতে দেবেন না।
শুরু করেন, বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে উঠোন বৈঠক। গ্রামের সহজ-সরল নারীদের বাল্যবিয়ের কুফল ও এর ভয়াবহ পরিণাম বোঝাতে থাকেন যেন তাদের ছেলে মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে না দেন। এতে বেশ সাড়া পান তিনি।
আশ-পাশে কোথাও এরকম বিয়ের আয়োজন হলেই খবর চলে আসে কল্যাণী হাসানের কাছে।
তিনি ছেলে ও মেয়ে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সাথে বিয়ের খারাপ পরিণাম ও আইনের বিষয় বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছে, কল্যাণী হাসান এগিয়ে না আসলে তারা লেখাপড়া করতে পারতো না। স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করাও সম্ভব হতো না।
তার উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভিভাবকরা বলছেন, তার কথায় বিয়ে বন্ধ করে অনেক ভালো হয়েছে। সন্তানের জীবন এখন বদলে গেছে।
কল্যাণী হাসানের মহতি এই উদ্যোগে এলাকার অনেক ছেলে-মেয়ের জীবন পাল্টে যাচ্ছে। তারা লেখা-পড়া করতে পারছে। তার এই কাজে এলাকাবাসিও গর্বিত।