জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদন থেকে তথ্যটি প্রকাশ করেছে বিবিসি।
সংস্থাটি বলছে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু যেমন প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট জগতে আসছে, একই সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার তাদের জন্য ঝুঁকিও তৈরি করছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকারক বিষয়ের দিকে আসক্তি তৈরি হওয়া, যৌন হয়রানির শিকার কিংবা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি।
সংস্থাটির মতে, প্রতিদিন এতো বিপুল সংখ্যক শিশু যখন অনলাইন জগতের সাথে পরিচিত হচ্ছে তখন তারা নানা ধরনের বিপদের মুখোমুখিও হচ্ছে। শিশুদের এসব ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন দেশের সরকার নানা ধরনের নীতি প্রণয়ন করেছে একথা উল্লেখ করে ইউনিসেফ বলছে, আরো অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে।
কারণ পৃথিবীজুড়ে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন শিশু। তারা মনে করে অনলাইনের ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করা দায়িত্ব সকলের ওপরই বর্তায়। এক্ষেত্রে সরকার, পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিযয়ে আসতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তি শিল্পের ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদেরও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
যদি প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন শিশু হয় তাহলে সেটা যেমন আনন্দের কথা, ঝুঁকির দিকথেকেও সে অনুপাত বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এটা প্রতিরোধ করতে তাই পরিবার, রাষ্ট্র ও আমাদের শিশুদেরও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার শেখা জরুরি। এ ব্যাপারে বাবা-মার সঙ্গে সম্পর্ক খোলামেলা হলে বিপদ অনেক কমে যায়।