এখানে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন থেকে জানা যায় খিষ্ট্রপূর্ব চতুর্থ থেকে পনের শতাব্দর মধ্যে এই নগরী একটি সমৃদ্ধশালী জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছিল।
বেশ কয়েকশ শতাব্দী পর্যন্ত এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল বংশের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। শেষ শাসক পরশুরামের সময় পর্যন্ত প্রাচীন বাংলার রাজধানীও ছিল এখানেই।
বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯২৮-২৯ সালে কে.এন দীক্ষিতের তত্ত্বাবধানে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ গড়টি খনন শুরু করে এবং তা তিনটি ঢিবির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এ ঢিবিগুলি বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দ ভিটা এবং মুনির ঘুন নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
এরপর প্রায় ত্রিশ বছর খননকাজ বন্ধ থাকে। ষাটের দশকের প্রথম দিকে আবার খোঁড়া শুরু হয়। এবং তা উত্তর দিকের প্রতিরক্ষা প্রাচীর এলাকা, পরশুরামের প্রাসাদ, মাযার এলাকা, খোদার পাথর ভিটা, মানকালীর কুণ্ডধাপ এবং অন্যান্য জায়গায় চলতে থাকে।
নগরটিতে কয়েকটি জায়গায় প্রত্নস্থলের মূল মাটি পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। এর মধ্যে ফ্রান্স-বাংলাদেশ মিশন পরিচালিত সাম্প্রতিক উৎখনন ১৮টি নির্মাণ স্তর উন্মোচন করেছে। ১৯২৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত (ফ্রান্স-বাংলাদেশ উদ্যোগসহ) বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত খননের ফলে সাংস্কৃতিকভাবে নানান যুগের নিদর্শন উদ্ঘাটিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য নির্দশনের মধ্যে রয়েছে, শাহ সুলতানের মাজার, ভাসু বিহার, গোবিন্দ ভিটা, শিলা দেবির ঘাট, গোকুল মেদসহ অনেক স্থাপনা, স্বর্ণমুদ্রা, পাথরের ভাস্কর্য, পোড়া মাটির ফলক, পুঁতি, মসৃণ পাত্রের টুকরাসহ অনেক নিদর্শন।