চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার পর সে আর স্কুলে যায় না। বাবা মারা গেছেন ছয় মাস আগে। অভাবের সংসার হলেও মা ছেলেকে পড়াতেই চান। ক্লাসে বেশ ভালো ফলাফল করত বলে জানান তিনি। কিন্তু এখন হাতেকলমে কাজ করতে করতে আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
ইয়াছিনের মা ও মামা তাকে পড়া লেখা করতে বলেন কিন্তু ইয়াছিন লেখাপড়া নয়, কাজ করতেই পছন্দ করে। একটি শৌচাগার তৈরির সামগ্রী নির্মাণ কারখানায় কাজ করে ও।
মো. ফরিদ শেখ নামে ধুনট কলেজের একজন অধ্যাপক মনে করেন, দারিদ্র্যের কারণ ছাড়াও সমাজে পরোপকারী ও সহানুভূতিশীল মানুষ কমে যাওয়ার কারণেও পড়া ছেড়ে কাজের দিকে ঝুঁকছে শিশুরা। এর কারণ হিসেবে শৈশবেই নগদ টাকা আয়ের রোমাঞ্চ, পড়ার ঝোঁককে ডিঙিয়ে যাচ্ছে বলে তার ধারণা।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকসের (বিবিএস) ২০১৭-র পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, শিশু শ্রমজীবীর সংখ্যা ১৭ লাখ৷ এ সংখ্যা ২০০০ সালের গোড়ার বছরগুলির চেয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে বিবিএস-এর দাবি।