নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার গজনী অবকাশ। সীমান্তঘেঁষা ছোট-বড় পাহাড়, শাল, গজারি, সেগুন আর লতাপাতার অপূর্ব বিন্যাস, প্রকৃতি প্রেমীদের বারবার আকর্ষণ করে।
শীত মৌসুমে দেশের অনেক জায়গা থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় করেন গজনী অবকাশ কেন্দ্রে।
শেরপুর শহর থেকে ৩০ কিলোমটারি দূরে, ১৯৯৩ সালে শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবকাশ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি এলাকা নিয়ে এ অবকাশ কেন্দ্রটি গঠিত।
নির্মিত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর হাজারও পযটক এখানে ভিড় করেন। কেন্দ্রটি আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কিছু স্থাপনা ও ভাস্কর্য।
গজনীর প্রবেশ মুখেই রয়েছে মৎস্যকন্যা, ড্রাগন, জিরাফ ও হাতির প্রতিকৃতি। আগে এখানে ছোট একটি চিড়িয়াখানা ছিল। এখন এতে নতুন করে যোগ করা হয়েছে মেছো বাঘ, হরিণ, অজগর সাপ, ভালুকসহ ৪০ প্রজাতির প্রাণি। যা বিনোদনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে পাহাড়ের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে হাঁটার রাস্তা। শিশুদের জন্য রয়েছে শিশু পার্ক। এছাড়া উঁচু উঁচু পাহাড় থেকে জলপ্রপাত তৈরি করা হচ্ছে।
একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণের বিকল্প নেই। এই ভ্রমণের উপযুক্ত একটি স্থান হচ্ছে শেরপুরের গজনী অবকাশকেন্দ্র। বলা যায় শত ব্যস্ততার মাঝে একটু স্বস্তির নাম হতে পারে গজনী অবকাশ।