বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটে গুগল সার্চ দিলেই দেখা যাচ্ছে ডুডলটি। ডুডলে ক্লিক করলে বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে।
১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর, রোকেয়া মারা যান। দিনটিকে রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই দিনেই সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ডুডলেও তাকে সম্মান জানানো হয়েছে।
'মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া তুলিতে হইবে, যাহাতে তাহারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিনী, আদর্শ জননী এবং আদর্শ নারীরূপে পরিচিত হইতে পারে”, বলেছেন আজকের ডুডলে দেখা নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া।
নারীদের স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। ১৮৮০ সালের নয় ডিসেম্বরে রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্ম নেন তিনি।
বেগম রোকেয়া শুধু একজন সমাজ সংস্কারক বা কর্মী ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিকও। নবনূর, সওগাত, মোহাম্মদী ইত্যাদি সাহিত্যপত্রে তার গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও রসরচনা প্রকাশিত হয়েছে।
তৎকালীন মুসলিম সমাজব্যবস্থায় রোকেয়া ও তার বোনদের বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়নি, তাদেরকে ঘরে আরবি ও উর্দু শেখানো হয়। তবে রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের আধুনিকমনস্ক মানুষ ছিলেন। তিনি বোনদের ঘরে বসেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান।
১৮৯৬ সালে ১৬ বছর বয়সে ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উর্দুভাষী ও বিপত্নীক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়ার। বিয়ের পর তিনি 'বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন' নামে পরিচিত হন।
ভাইয়ের মতো রোকেয়ার স্বামীও মুক্তমনা মানুষ ছিলেন। রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন। স্বামীর উৎসাহ ও প্রেরণায় বাংলা ও ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন।
১৯০৯ সালে সাখাওয়াত হোসেন মারা গেলে, রোকেয়া সমাজসেবা ও সমাজে নারীশিক্ষা বিস্তারে পুরোপুরি মন দেন।