পরিচ্ছন্নতায় বিমান বন্দরে ভিন্ন উদ্যোগ

বড় ভাই বিদেশ থেকে আসছেন। আমি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ভাইয়াকে রিসিভ করতে গিয়েছিলাম।
পরিচ্ছন্নতায় বিমান বন্দরে ভিন্ন উদ্যোগ

এন্ট্রি টিকেট কেটে ভেতরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তৃষ্ণা পাওয়ায় একটা ক্যান্টিন থেকে এক বোতল পানি কিনতে গেলে তারা আমার কাছে পানির দামের চেয়েও কিছু টাকা বেশি চান। বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা জানান, আমি যদি খাওয়ার পর বোতলটা তাদের ফেরত দেই, বাড়তি নেওয়া টাকাটা আমাকে ফেরত দেবেন।

কারণটা তখন না বুঝলেও পানি শেষ করে বোতলটি ফেরত দিলে আমার কাছে নেওয়া বেশি টাকা ফেরত দিলেন তিনি।

পরিচিত এক চাচার মুখেও শুনেছিলাম এমন গল্প। তিনি বলছিলেন যে ইউরোপের কয়েকটি দেশে এমন নিয়ম রয়েছে। তাই কৌতূহল থেকে বিক্রেতেকে জিজ্ঞেস করে এর কারণ জানতে পারলাম।

আমরা যেখানে সেখানে খালি বোতল, চকোলেট, বিস্কিট ও চিপসের প্যাকেট ফেলে জায়গা নোংরা করি। তাই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে এই নিয়ম করেছে। অন্তত বাইরের দেশের মানুষ যেন আমাদের বিমান বন্দরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য না করে।

সেদিনের ঘটনাটা আমার মনে বারবার নাড়া দিলো। সত্যিই তো আমরা যদি এমন ভাবে সারা দেশকে পরিষ্কার করে রাখতাম তাহলে এ শহরে ময়লার বড় বড় স্তূপ হতো না। সবাই সচেতন হলে দোকানদারদের বাড়তি টাকা দাবি করার প্রয়োজন হতো না। দেশটা পরিষ্কার থাকতো।

শহরের বুকে অনেক ডাস্টবিন থাকলেও সেখানে ময়লা না ফেলে আমরা যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে আমাদের দেশটা আমরাই নোংরা করছি।

মানুষ সচেতন না হলে কখনও দেশকে পরিষ্কার রাখা যাবে না। মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কাজ করলেও, আমরা সচেতন না হই তবে পরিচ্ছন্ন থাকা ও রাখা সম্ভব না। আমরা বিমান বন্দরের মতো করে সারাটা দেশকে পরিষ্কার দেখতে চাই। বিশ্বের মাঝে আমাদের দেশের সৌন্দর্য আরো বেশি করে তুলে ধরতে চাই।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com