দিবসটি পালনের মধ্যে দিয়ে ব্যাপক গণেসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এইডস-এর প্রতীক নির্ধারণ করা হয় লাল রিবন। লাল ফিতার মাধ্যমে এইডস এইচআইভি পজিটিভ বা এইডস আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতাসহ প্রতিরোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
প্রতি বছর পহেলা ডিসেম্বর ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পালন করা হয়। জাতিসংঘ, ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
১৯৮১ সালে বিশ্বে প্রথম এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়ে ১৯৮৯ সালে।
১৯৯৫ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্হার এক রিপোর্টে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দেখা যায়, মায়ানমার চার হাজার ৭৫, ভিয়েতনাম দুশ ২৮, ভারত এক হাজার ৩৬, মালেশিয়া দুশ, পাকিস্তান ৪৬, ফিলিপাইন একশ ৯৮, থাইল্যান্ড ১৯ হাজার ৯৫ এবং বাংলাদেশে নয় জন। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এইডস ছড়িয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের এইডস সংক্রান্ত সংস্থা ‘ইউনিএইডস’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে এই পর্যন্ত প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আর প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় তিন কোটি পঞ্চাশ লাখ মানুষ। ২০১৫ সালে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল।
ইউনিএইডস-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১১ হাজার, যা আমাদের মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক এক শতাংশেরও কম। তবে এর প্রাদুর্ভাব কম হলেও এইডস ঝুকিঁতে রয়েছে এমন হার শতকরা শূন্য দশমিক সাত।
বাংলাদেশের প্বার্শবর্তী দেশসমূহে এইডস-এর বিস্তার ভয়াবহ। আর ব্যবসায়িক ও অন্য কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক বিদেশে যাতায়াত করছেন। প্রতিবছর প্রায় ৮০,০০০ লোক বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যান। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নানাভাবে এ রোগের ভাইরাস বহন করে দেশে ফিরে আসে।
এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে যৌনকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে পেশাদার রক্তদাতার সংখ্যাও। এসব রক্তদাতার সিংহভাগ, মাদকাসক্ত ও এইডস রোগাক্রান্তরা। আমাদের দেশে এইডস সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা ও সচেতনতার অভাব এইডস সংক্রমণের প্রধান কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক ও মানসিক সমর্থন জরুরি।