বিশ্ব টেলিভিশন দিবস

বিশ শতকের শুরু থেকে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে প্রথম দূরবর্তী ছবি দেখার সুযোগ হয় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে।
বিশ্ব টেলিভিশন দিবস

১৮৭৩ সালে বিজ্ঞানী মে ও স্মিথ ইলেকট্রনিক সিগনালের মাধ্যমে ছবি পাঠানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লোগি বেয়ার্ড, ১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন এবং সাদাকালো ছবি বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে দূরে পাঠাতে সক্ষম হন।  

এর পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবার্গের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। ঘরে বসেই মানুষ তখন সারা বিশ্বের খবরাখবর দেখতে ও শুনতে পায়। উপভোগ করতে পারে বিনোদন। জানতে পারে পৃথিবীর অজানা কথা।  

সেই থেকেই জন লোগি বেয়ার্ডকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ, এক ফোরামে ২১ নভেম্বরকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।   

বাংলাদেশেও যথাযথ আয়োজনে দিনটি পালন করা হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বেসরকারি উদ্যোগে টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হয়েছিল। ঢাকা শহরের ডিআইটি (বর্তমান রাজউক ভবন) থেকে তিনশ ওয়াট ট্রান্সমিটারের সাহায্যে ঢাকা ও এর আশপাশে দশ মাইল এলাকার জন্য প্রতিদিন তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠান প্রচার করা হতো।  

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে, ১৯৭২ সালে টেলিভিশনকে জাতীয়করণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) নামকরণ করা হয়। আগে এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু সীমিত সম্প্রচার এলাকা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।  

১৯৭৫ সালের ৬ মার্চ ডিআইটি থেকে টেলিভিশন কেন্দ্র রামপুরায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ১২টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে পঁচানববই ভাগেরও বেশি এলাকা টিভি সম্প্রচারের আওতায় এসেছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হচ্ছে ১৯৮০ সালে রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালু। বিটিভির সম্প্রচার পরিধি বাড়াতে অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com