মাইকেলের প্রতিভা পপ সঙ্গীতকে সঙ্গীতের জগতে তুঙ্গে তুলে দিতে পেরেছিল। হয়ে উঠেছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি। পাশ্চাত্যসহ সারা বিশ্বের সঙ্গীত পিপাসুদের জয় করেছিলেন এই কৃষ্ণাঙ্গ গায়ক। ২৯ অগাস্ট তার ৫৯ তম জন্মদিন।
মাইকেলের জন্ম ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের গ্যারি শহরের একটি কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারে। মাইকেলের বাবা-মা দুজনই ছিলেন সাংস্কৃতিপ্রেমী।
বাবা ছিলেন সাবেক বক্সার ও ইস্পাতশ্রমিক জোসেফ ওয়াল্টার ও স্থানীয় একটি ব্যান্ডদলে গিটার বাদক ছিলেন মা ক্যাথরিন। তাদের স্বপ্নই ছিল সন্তানদের তারকা হিসেবে গড়ে তোলার।
জোসেফ ওয়াল্টার, ছেলে জেরমাইন, জ্যাকি, টিটো, মেরলন ও মাইকেলকে নিয়ে গড়েন, ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ’ নামে একটি সঙ্গীত দল। আর দলের প্রধান গায়ক ছিল মাইকেল। সে তখন সবে পাঁচে পা দিয়েছে।
বিগ বয়, আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক, এবিসি, দ্যা লাভ ইউ সেইভ এবং আই উইল বি দেয়ার-এর মত বিশ্বকাঁপানো সব গান গেয়ে মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের।
এছাড়াও, বিলি জিন,স্মুথ ক্রিমিনাল, বিট ইট, ব্ল্যাক অর হোয়াইট, দে ডোন্ট রিয়েলি কেয়ার অ্যাবাউট আস, হিল দ্য ওয়াল্ড, ম্যান ইন দ্য মিরর, আর্থ সং, ব্যাড, গানগুলো বিশ্বজুড়ে তাকে খ্যাতি এনে দেয়।
অচিরেই তার গানের অ্যালবাম একশ কোটির বেশি বিক্রির রেকর্ড গড়ে। আর ১৩ বার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয় তাকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে জায়গা করে দেয়।
এই কিংবদন্তী শিল্পী খ্যাতির মাঝ আকাশে থাকতেই ২০০৯ সালের ২৫ জুন, ৫০ বছর বয়সে মারা যান।
মাইকেলের মত্যুর পর দ্য লুনার রিপাবলিক সোসাইটি, চাঁদের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের নাম পরিবর্তন করে রাখে `মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন’।