সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এইচ এম কামারুজ্জামান এবং এম মনসুর আলীর ভাস্কর্যের ঠিক মাঝখানে একটু বড় আদলে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। ১৯৭৫ সালে ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর এই চার নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত রাখতে এই ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়। ২০ ফুটের চারটি ও চার ফুটের ১০টি কংক্রিটের স্তম্ভের ওপর বসানো হয়েছে বৈদ্যুতিক আলো। জরুরি বিদ্যুতের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সৌর বিদ্যুত প্ল্যান্ট।
ডান পাশে রয়েছে পাথরে খোদাই করা সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ও বাম পাশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যৌথ ভাস্কর্য।
মুল বেদীতে ওঠার সোনালি রংয়ের টাইলস দিয়ে তৈরি সিঁড়িগুলোর কার্নিস পিতলের পাত দিয়ে মোড়ানো। আর চার ফুট কংক্রিটের পিলার করে তাতে ইস্পাতের গ্রিল দিয়ে তৈরি হয়েছে চার পাশের সীমানা।
মুর্যালের সামনের কংক্রিট মেঝে রঙিন লতা-পাতার নকশায় মোজাইক করা হয়েছে।
দর্শনাথীদের যাতায়তের জন্য বাম পাশে ও ভাস্কর্যের সামনের দেওয়ালে রাখা হয়েছে ফটক। মূল ফটকের বাইরে স্মৃতিসৌধ সড়কে পাথরে খোদাই করে স্থাপন করা হচ্ছে আরও কয়েকজন শহীদ ও বিশিষ্ট মানুষের ভাস্কর্য।
দেশের নানা অঞ্চল থেকে গৌরীপুরে বেড়াতে আসা লোকজন এই নিপুণ কারুকাজ করা এই ভাস্কর্যটি দেখে মুগ্ধ হন।