বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে দিনটি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় বেতার ভবন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি এফএম রেডিওসহ কমিউনিটি রেডিওগুলো দিনব্যাপী প্রচার করেছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র নামে এদেশে সর্বপ্রথম স্বল্প পরিসরে বেতারের কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর নাজিমুদ্দীন রোডের ভাড়া করা বাড়িতে ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ নামে বেতারের সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়।
পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে শাহবাগস্থ কেন্দ্রে বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র স্থানান্তরিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৮৩ সালের ৩০ জুলাই সম্প্রচার কেন্দ্রটি জাতীয় বেতার ভবন আগারগাঁওয়ে স্থানান্তরিত হয়।
বাংলাদেশ বেতারের জন্ম তারিখের সাথে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের এক কাকতালীয় মিল রয়েছে। বেতারের জন্মের ৩২ বছর পর এই ১৬ ডিসেম্বরেই বিজয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিজয়ের নেপথ্যে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটির। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্রগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করা হয়। এসময় বেতারকেন্দ্রটি কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়েছিল। শেষে ২৫ মে কলকাতাতে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে যুদ্ধের বাকি সময় পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতো। ডিসেম্বর ৬ তারিখে বেতার কেন্দ্রটিকে বাংলাদেশ বেতার নাম দেওয়া হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮টি বেসরকারি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতারের ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম রেডিও পরিচালিত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব ভাবে।
পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ বেতার যেমন অনুষ্ঠান ও খবর সম্প্রচার করছে, তেমনি বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, ডয়চে ভেলে, এন এইচ কে, রেডিও চায়না ও অন্যান্য বিদেশি মাধ্যমেও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারছি।
২০০৬ সালে বেসরকারিভাবে বাংলাদেশে এফএম রেডিওর যাত্রা শুরু হয়। কয়েক বছরের মধ্যে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে।