আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস
২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দিনটিকে বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৯০ সালে জাতিসংঘ অভিবাসী শ্রমিক ও দেশে রেখে আসা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছিল। এর প্রেক্ষাপটে ১৮ ডিসেম্বর দিনটিকে বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বৈশ্বিকভাবে প্রচারণা চালায়। ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ব্যাপক প্রচারণার ফলে জাতিসংঘ এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
যদিও ১৯৯৭ সাল থেকে ফিলিপিনস এবং অন্য এশীয় অভিবাসী সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করতে শুরু করে। প্রথম দিকে তারা ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক ঐক্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়ভাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। এছাড়া এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানানো হয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেয়াদে ছয় লক্ষ ৮৪ হাজার পাঁচশ ৩৭ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছে। যাদের মধ্যে নারী কর্মীর সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার নয়শ দুই জন।
এই প্রবাসীদের দ্বারা প্রেরিত রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৪৯৩১.১৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এছাড়া ৬২টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে তিন লক্ষ ৩৫ হাজার আটশ ৩৬ জন কর্মীকে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানে লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যাদের মধ্যে এক লাখ পাঁচ হাজার পাঁচশ ১৯ জনই নারী শ্রমিক।
বিদেশে কর্মরত নারী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি সেল গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য হটলাইনও চালু করা হয়েছে।